IE Bangla Web Desk

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর, বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল। ৩১ বছর পর, অযোধ্যা এখন রামমন্দিরের উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত। মন্দিরের নির্মাণকাজ পুরোদমে চলছে। একইভাবে দ্রুত রূপান্তর হচ্ছে এই শহরের। ২০১৭ সালে বিজেপির ক্ষমতায় আসা এবং যোগী আদিত্যনাথের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে অযোধ্যার পরিকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু হয়েছিল। ২০১৭ সালের মে মাসে, ক্ষমতায় আসার কয়েক মাস পরে, বিজেপি সরকার ফৈজাবাদ এবং অযোধ্যার মিউনিসিপ্যাল বোর্ডগুলিকে মিলিয়ে দেয়।<figure class="wp-block-image size-large"><img decoding="async" loading="lazy" width="1600" height="1067" src="https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-ram-temple-1600.jpg" alt="ayodhya ram mandir" class="wp-image-701442" srcset="https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-ram-temple-1600.jpg 1600w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-ram-temple-1600.jpg?resize=200,133 200w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-ram-temple-1600.jpg?resize=345,230 345w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-ram-temple-1600.jpg?resize=768,512 768w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-ram-temple-1600.jpg?resize=650,433 650w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-ram-temple-1600.jpg?resize=1536,1024 1536w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-ram-temple-1600.jpg?resize=1200,800 1200w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-ram-temple-1600.jpg?resize=150,100 150w" sizes="(max-width: 1600px) 100vw, 1600px" /><figcaption class="wp-element-caption">চলতি বছরের জুলাইয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রথম তলার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। (এক্সপ্রেস ছবি: বিশাল শ্রীবাস্তব)</figcaption></figure>নতুন কর্পোরেশনএকটি নতুন পৌর কর্পোরেশন তৈরি করে। নাম দিয়েছে, অযোধ্যা নগর নিগম। রাজ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার অযোধ্যার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যও অর্থ বরাদ্দ করেছে। অযোধ্যা শহরটি আগে ফৈজাবাদ জেলার অংশ ছিল। কিন্তু, ২০১৮ সালের নভেম্বরে আদিত্যনাথ সরকার ফৈজাবাদ জেলা এবং বিভাগের নাম বদলে অযোধ্যা করেছে। ২০২১ সালের অক্টোবরে, সরকার ঘোষণা করেছিল যে ফৈজাবাদ রেলওয়ে জংশনের নাম পরিবর্তন করে অযোধ্যা ক্যান্ট করা হবে।উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাযোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে অযোধ্যায় বিমান, রেল ও সড়ক পরিকাঠামোয় জোর দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের মতে, বর্তমানে অযোধ্যায় ৩০,৯২৩ কোটি টাকার ২০০টিরও বেশি প্রকল্প চলছে। যা, ৩৭টি বিভাগের সঙ্গে যুক্ত। প্রশাসনের ধারণা, একবার রাম মন্দির চালু হলে দিনে নিয়মিত ২ লক্ষ এবং বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ দিনে ৫ লক্ষ পর্যন্ত পুণ্যার্থী আসবেন। একথা মাথায় রেখেই নির্মিত হচ্ছে পরিকাঠামো।<figure class="wp-block-embed"><div class="wp-block-embed__wrapper"><iframe loading="lazy" class="youtube-player" width="640" height="360" src="https://www.youtube.com/embed/UzHSCVTQNVw?version=3&#038;rel=1&#038;showsearch=0&#038;showinfo=1&#038;iv_load_policy=1&#038;fs=1&#038;hl=en-US&#038;autohide=2&#038;wmode=transparent" allowfullscreen="true" style="border:0;" sandbox="allow-scripts allow-same-origin allow-popups allow-presentation allow-popups-to-escape-sandbox"></iframe></div></figure>বিমান যোগাযোগলখনউ-গোরক্ষপুর মহাসড়কের পাশে একটি বড় প্রকল্প হল, &#8216;মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর&#8217;। ২০২২ সালের এপ্রিলে উত্তরপ্রদেশ সরকার এই বিমানবন্দরের জন্য ৩১৮ একর জমি হস্তান্তরের জন্য এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (AAI)-এর সঙ্গে একটি ইজারা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এখানকার ১,৫০০ মিটার-লম্বা এবং ৩০ মিটার চওড়া রানওয়ে তৈরি হচ্ছে। আগে এখানে ছোট প্লেন নামত। আর, ফ্লাইং ক্লাব চলত। এখন ২৪টি বিমান দাঁড়ানোর মত একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে।<figure class="wp-block-image size-large"><img decoding="async" loading="lazy" width="1600" height="900" src="https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-deepotsav-ayodhya-1600.jpeg" alt="Ayodhya deepotsav" class="wp-image-701443" srcset="https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-deepotsav-ayodhya-1600.jpeg 1600w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-deepotsav-ayodhya-1600.jpeg?resize=350,197 350w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-deepotsav-ayodhya-1600.jpeg?resize=768,432 768w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-deepotsav-ayodhya-1600.jpeg?resize=650,366 650w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-deepotsav-ayodhya-1600.jpeg?resize=1536,864 1536w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-deepotsav-ayodhya-1600.jpeg?resize=310,174 310w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-deepotsav-ayodhya-1600.jpeg?resize=1200,675 1200w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-deepotsav-ayodhya-1600.jpeg?resize=150,84 150w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-deepotsav-ayodhya-1600.jpeg?resize=81,45 81w, https://bengali.indianexpress.com/wp-content/uploads/2023/12/ie-deepotsav-ayodhya-1600.jpeg?resize=100,56 100w" sizes="(max-width: 1600px) 100vw, 1600px" /><figcaption class="wp-element-caption">অযোধ্যায়, ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর, শনিবার, দীপোৎসব। (দীপাবলি উদযাপন) চলাকালীন লোকেরা রাম কি পৌরিতে মাটির প্রদীপ জ্বালাচ্ছেন। (পিটিআই ছবি)</figcaption></figure>সড়ক যোগাযোগযার মধ্যে রয়েছে তিনটি প্রধান পথ: শ্রীরাম জন্মভূমি পথ। যা (৫.৭৭ কিলোমিটার লম্বা)। এই পথ সুগ্রীব কিলা হয়ে নয়াঘাটের সঙ্গে রাম মন্দিরের সংযোগ স্থাপন করছে। তৈরি হচ্ছে ভক্তি পথ (৮৫০ মিটার), যা হনুমানগড়ি হয়ে রাম মন্দিরের সঙ্গে প্রধান রাস্তাকে যুক্ত করবে। রাম পথ (১২.৯ কিমি), যা সাদাতগঞ্জকে রামজন্মভূমির সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এই প্রসারিত অংশগুলোয় আগে খোলা ড্রেন-সহ সরু এবং ঘেরা রাস্তা ছিল। স্থানীয়রা, যাঁরা এই রাস্তার ধারে বসবাস করতেন এবং এখানে দোকান চালাতেন, তাঁরা তাদের সম্পত্তির সামনের অংশগুলোকে প্রশস্ত লেন করার অনুমতি দিয়ে ভেঙে দিয়েছে। আর, প্রশাসনের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছে।আরও পড়ুন- <a class="" href="https://bengali.indianexpress.com/west-bengal/trinamool-leader-firhad-hakim-questions-about-abhishek-policy-701438/">তৃণমূলের বৃদ্ধতন্ত্র: এবার অভিষেকের নীতি নিয়ে প্রশ্ন ফিরহাদের! নিজেকে রাখলেন কোন ক্যাটাগরিতে?</a>মাল্টি লেভেল পার্কিং লোকেশনএছাড়াও, কমপক্ষে পাঁচটি মাল্টি-লেভেল পার্কিং লোকেশন তৈরি করা হচ্ছে। লখনউ-গোরক্ষপুর মহাসড়কে ভিড় সামলাতে, ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি (NHAI) একটি ৬৫ কিলোমিটার আউটার রিং রোড তৈরি করবে। এজন্য ২,৫০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। চার লেনের রিং রোডটি অযোধ্যা, গোন্ডা এবং বাস্তি জেলার মধ্যে দিয়ে যাবে। অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশনটি আবার তিনটি নতুন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সম্প্রসারিত হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে আরেকটি রেলপথের ল্যান্ডস্কেপিং এবং উন্নয়ন করা হবে।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর, বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল। ৩১ বছর পর, অযোধ্যা এখন রামমন্দিরের উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত। মন্দিরের নির্মাণকাজ পুরোদমে চলছে। একইভাবে দ্রুত রূপান্তর হচ্ছে এই শহরের। ২০১৭ সালে বিজেপির ক্ষমতায় আসা এবং যোগী আদিত্যনাথের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে অযোধ্যার পরিকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু হয়েছিল। ২০১৭ সালের মে মাসে, ক্ষমতায় আসার কয়েক মাস পরে, বিজেপি সরকার ফৈজাবাদ এবং অযোধ্যার মিউনিসিপ্যাল বোর্ডগুলিকে মিলিয়ে দেয়। চলতি বছরের জুলাইয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রথম তলার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। (এক্সপ্রেস ছবি: বিশাল শ্রীবাস্তব) নতুন কর্পোরেশনএকটি নতুন পৌর কর্পোরেশন তৈরি করে। নাম দিয়েছে, অযোধ্যা নগর নিগম। রাজ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার অযোধ্যার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যও অর্থ বরাদ্দ করেছে। অযোধ্যা শহরটি আগে ফৈজাবাদ জেলার অংশ ছিল। কিন্তু, ২০১৮ সালের নভেম্বরে আদিত্যনাথ সরকার ফৈজাবাদ জেলা এবং বিভাগের নাম বদলে অযোধ্যা করেছে। ২০২১ সালের অক্টোবরে, সরকার ঘোষণা করেছিল যে ফৈজাবাদ রেলওয়ে জংশনের নাম পরিবর্তন করে অযোধ্যা ক্যান্ট করা হবে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাযোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে অযোধ্যায় বিমান, রেল ও সড়ক পরিকাঠামোয় জোর দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের মতে, বর্তমানে অযোধ্যায় ৩০,৯২৩ কোটি টাকার ২০০টিরও বেশি প্রকল্প চলছে। যা, ৩৭টি বিভাগের সঙ্গে যুক্ত। প্রশাসনের ধারণা, একবার রাম মন্দির চালু হলে দিনে নিয়মিত ২ লক্ষ এবং বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ দিনে ৫ লক্ষ পর্যন্ত পুণ্যার্থী আসবেন। একথা মাথায় রেখেই নির্মিত হচ্ছে পরিকাঠামো। বিমান যোগাযোগলখনউ-গোরক্ষপুর মহাসড়কের পাশে একটি বড় প্রকল্প হল, 'মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর'। ২০২২ সালের এপ্রিলে উত্তরপ্রদেশ সরকার এই বিমানবন্দরের জন্য ৩১৮ একর জমি হস্তান্তরের জন্য এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (AAI)-এর সঙ্গে একটি ইজারা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এখানকার ১,৫০০ মিটার-লম্বা এবং ৩০ মিটার চওড়া রানওয়ে তৈরি হচ্ছে। আগে এখানে ছোট প্লেন নামত। আর, ফ্লাইং ক্লাব চলত। এখন ২৪টি বিমান দাঁড়ানোর মত একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে। অযোধ্যায়, ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর, শনিবার, দীপোৎসব। (দীপাবলি উদযাপন) চলাকালীন লোকেরা রাম কি পৌরিতে মাটির প্রদীপ জ্বালাচ্ছেন। (পিটিআই ছবি) সড়ক যোগাযোগযার মধ্যে রয়েছে তিনটি প্রধান পথ: শ্রীরাম জন্মভূমি পথ। যা (৫.৭৭ কিলোমিটার লম্বা)। এই পথ সুগ্রীব কিলা হয়ে নয়াঘাটের সঙ্গে রাম মন্দিরের সংযোগ স্থাপন করছে। তৈরি হচ্ছে ভক্তি পথ (৮৫০ মিটার), যা হনুমানগড়ি হয়ে রাম মন্দিরের সঙ্গে প্রধান রাস্তাকে যুক্ত করবে। রাম পথ (১২.৯ কিমি), যা সাদাতগঞ্জকে রামজন্মভূমির সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এই প্রসারিত অংশগুলোয় আগে খোলা ড্রেন-সহ সরু এবং ঘেরা রাস্তা ছিল। স্থানীয়রা, যাঁরা এই রাস্তার ধারে বসবাস করতেন এবং এখানে দোকান চালাতেন, তাঁরা তাদের সম্পত্তির সামনের অংশগুলোকে প্রশস্ত লেন করার অনুমতি দিয়ে ভেঙে দিয়েছে। আর, প্রশাসনের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। আরও পড়ুন- তৃণমূলের বৃদ্ধতন্ত্র: এবার অভিষেকের নীতি নিয়ে প্রশ্ন ফিরহাদের! নিজেকে রাখলেন কোন ক্যাটাগরিতে? মাল্টি লেভেল পার্কিং লোকেশনএছাড়াও, কমপক্ষে পাঁচটি মাল্টি-লেভেল পার্কিং লোকেশন তৈরি করা হচ্ছে। লখনউ-গোরক্ষপুর মহাসড়কে ভিড় সামলাতে, ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি (NHAI) একটি ৬৫ কিলোমিটার আউটার রিং রোড তৈরি করবে। এজন্য ২,৫০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। চার লেনের রিং রোডটি অযোধ্যা, গোন্ডা এবং বাস্তি জেলার মধ্যে দিয়ে যাবে। অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশনটি আবার তিনটি নতুন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সম্প্রসারিত হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে আরেকটি রেলপথের ল্যান্ডস্কেপিং এবং উন্নয়ন করা হবে।

Chinmay Bhattacharya

Explained: বাবরি ধ্বংসের ৩১ বছর: যোগী জমানায় অযোধ্যাকে চেনাই দায়, কতটা বদলেছে রামরাজ্য?

চলতি বছরের মার্চে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। (এক্সপ্রেস ছবি)
 

Subhasish Hazra

মোহনবাগান: ২ (সাদিকু-২)ওড়িশা: ২ (জাহু-২)লাঞ্ছিত হতে হয়েছিল মাত্র একসপ্তাহ আগেই। ঘরের মাটিতে সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল হুয়ান ফের্নান্দোর কাছে। তবে বদলার সেই মঞ্চেই শেষ মুহূর্তে কোনওরকমে মুখরক্ষা হল বাগানের। টিকে থাকল অপরাজিত তকমা। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে হারতে হারতে শেষ মুহূর্তে কোনওরকমে বাগানকে যিনি একপয়েন্ট এনে দিলেন সেই আর্মান্দো সাদিকুকে নিয়ে রটেই গিয়েছে তাঁকে নাকি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে।তবে সেই রটনা যদি সত্যি হয়, তাহলে বলতেই হচ্ছে আউটগোয়িং তারকাই বাগানের মুখরক্ষা করলেন যুবভারতীতে। ০-২ গোলে বিরতিতে পিছিয়ে থেকে তিনিই সবুজ মেরুন শিবিরে হতাশা ঝেড়ে ফেললেন জোড়া গোল করে।প্রথম একাদশে কামিন্স, পেত্রাতোস নন, ফেরান্দো নামিয়ে দিয়েছিলেন আপফ্রন্টে সাদিকু-কিয়ান নাসিরিকে জুটি করে। ডিফেন্সিভ থার্ড সামলানোর দায়িত্ব ছিল অনিরুদ্ধ থাপার ওপর। আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডারের ভূমিকায় যথারিতি সাহাল এবং বুমোস। কিয়ানের গোলশিকারের ক্ষিপ্রতা, লিস্টন, বুমোসের ডিরেক্ট গোলমুখী দৌড়, সাহালের দুর্ধর্ষ সমস্ত পাস দেখার অপেক্ষায় ছিল বাগান। ঠিক আট দিন আগেই এই যুবভারতীতে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ২-৫ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল সবুজ মেরুন শিবিরকে।আর লো লোবেরার এই ওড়িশার পুরো আক্রমণ-ই জাহু কেন্দ্রিক। মাঝমাঠে জাহুকে কেন্দ্র করেই সমস্ত আক্রমণের ঢেউ ওঠে। জাহুর দুই পাসে তাঁকে যোগ্য সহায়তা করতে হাজির থাকেন সিওয়াই গডার্ড এবং পুইতিয়া।সেই জাহুই বাগানের কাছে দুঃস্বপ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বিরতির আগে।মোহনবাগান শুরুটা খারাপ করেনি। বরং কিছুটা ব্যাকফুটে থেকেই ম্যাচের শুরু করে লোবেরার দল। ২১ মিনিটেই সাদিকুর দুর্ধর্ষ ব্যাকহিল থেকে সাহাল এগিয়ে দিতে পারতেন দলকে। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগেনি। ৩০ মিনিটেই বাগান গোল হজম করে বসে। নিজেদের অর্ধে আক্রমণ সামলে দিয়েছিলেন হ্যামিল। তবে সিওয়াই গডার্ড বল হোল্ড করে নরেন্দর সঙ্গে জুটিতে গোলের সুযোগ বের করে ফেলেছিলেন। এরপরে পুইতিয়ার শট বাঁচাতে গিয়ে বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে বসেন শুভাশিস। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি জাহু। বিরতির আগে সংযোজিত সময়ে মরিসিও-র স্কোয়ার পাস ধরে বিশালকে বোকা বানিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করে যান মরোক্কান তারকা।বিরতিতে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা ওড়িশা প্ৰথম ধাক্কা হজম করে জাহু চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ায়। ৫৮ মিনিটেই বাগানকে প্ৰথম গোল উপহার দিয়ে যান সাদিকু। ইউৎসের পাস ধরে বক্সের একপ্রান্ত থেকে স্কোয়ার পাস করেন কিয়ান। নরেন্দরকে বোকা বানিয়ে সাদিকু অমরিন্দরকে পেরিয়ে গোল করে যান।ব্যবধান কমানোর পরে মোহনবাগান গোলশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। খেলা গড়ায় শারীরিক পর্বে। ম্যাচ গড়ানোর সঙ্গেসঙ্গেই ওড়িশা বক্সে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকেন সাদিকু। তবে গোল আসছিল না। গোলশোধের জন্য হেক্টর কার্যত মিডফিল্ডারও হয়ে যান। হাই ডিফেন্স লাইন নিয়ে বাগান তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শানাচ্ছিল।শেষ মুহূর্তে গোল এল ৯৫ মিনিটে। ইউৎসের বাড়ানো বল দখলের জন্য লড়াই শুরু হয়েছিল অমরিন্দর এবং সাদিকুর মধ্যে। শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসেন বাগানের আলবেনিয়ান স্ট্রাইকার।ম্যাচের শেষ লগ্নে রয় কৃষ্ণের সঙ্গে তর্কাতর্কি করে লাল কার্ড দেখেন বাগান বস ফেরান্দো।মোহনবাগান: বিশাল কাইথ, আশিস রাই, ব্রেন্ডন হ্যামিল, হেক্টর ইউৎসে, শুভাশিস, বুমোস, থাপা, সাহাল, কোলাসো, কিয়ান নাসিরি, আর্মান্দো সাদিকু

মোহনবাগান: ২ (সাদিকু-২)ওড়িশা: ২ (জাহু-২) লাঞ্ছিত হতে হয়েছিল মাত্র একসপ্তাহ আগেই। ঘরের মাটিতে সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল হুয়ান ফের্নান্দোর কাছে। তবে বদলার সেই মঞ্চেই শেষ মুহূর্তে কোনওরকমে মুখরক্ষা হল বাগানের। টিকে থাকল অপরাজিত তকমা। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে হারতে হারতে শেষ মুহূর্তে কোনওরকমে বাগানকে যিনি একপয়েন্ট এনে দিলেন সেই আর্মান্দো সাদিকুকে নিয়ে রটেই গিয়েছে তাঁকে নাকি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে। তবে সেই রটনা যদি সত্যি হয়, তাহলে বলতেই হচ্ছে আউটগোয়িং তারকাই বাগানের মুখরক্ষা করলেন যুবভারতীতে। ০-২ গোলে বিরতিতে পিছিয়ে থেকে তিনিই সবুজ মেরুন শিবিরে হতাশা ঝেড়ে ফেললেন জোড়া গোল করে। প্রথম একাদশে কামিন্স, পেত্রাতোস নন, ফেরান্দো নামিয়ে দিয়েছিলেন আপফ্রন্টে সাদিকু-কিয়ান নাসিরিকে জুটি করে। ডিফেন্সিভ থার্ড সামলানোর দায়িত্ব ছিল অনিরুদ্ধ থাপার ওপর। আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডারের ভূমিকায় যথারিতি সাহাল এবং বুমোস। কিয়ানের গোলশিকারের ক্ষিপ্রতা, লিস্টন, বুমোসের ডিরেক্ট গোলমুখী দৌড়, সাহালের দুর্ধর্ষ সমস্ত পাস দেখার অপেক্ষায় ছিল বাগান। ঠিক আট দিন আগেই এই যুবভারতীতে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ২-৫ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল সবুজ মেরুন শিবিরকে। আর লো লোবেরার এই ওড়িশার পুরো আক্রমণ-ই জাহু কেন্দ্রিক। মাঝমাঠে জাহুকে কেন্দ্র করেই সমস্ত আক্রমণের ঢেউ ওঠে। জাহুর দুই পাসে তাঁকে যোগ্য সহায়তা করতে হাজির থাকেন সিওয়াই গডার্ড এবং পুইতিয়া। সেই জাহুই বাগানের কাছে দুঃস্বপ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বিরতির আগে। মোহনবাগান শুরুটা খারাপ করেনি। বরং কিছুটা ব্যাকফুটে থেকেই ম্যাচের শুরু করে লোবেরার দল। ২১ মিনিটেই সাদিকুর দুর্ধর্ষ ব্যাকহিল থেকে সাহাল এগিয়ে দিতে পারতেন দলকে। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগেনি। ৩০ মিনিটেই বাগান গোল হজম করে বসে। নিজেদের অর্ধে আক্রমণ সামলে দিয়েছিলেন হ্যামিল। তবে সিওয়াই গডার্ড বল হোল্ড করে নরেন্দর সঙ্গে জুটিতে গোলের সুযোগ বের করে ফেলেছিলেন। এরপরে পুইতিয়ার শট বাঁচাতে গিয়ে বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে বসেন শুভাশিস। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি জাহু। বিরতির আগে সংযোজিত সময়ে মরিসিও-র স্কোয়ার পাস ধরে বিশালকে বোকা বানিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করে যান মরোক্কান তারকা। বিরতিতে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা ওড়িশা প্ৰথম ধাক্কা হজম করে জাহু চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ায়। ৫৮ মিনিটেই বাগানকে প্ৰথম গোল উপহার দিয়ে যান সাদিকু। ইউৎসের পাস ধরে বক্সের একপ্রান্ত থেকে স্কোয়ার পাস করেন কিয়ান। নরেন্দরকে বোকা বানিয়ে সাদিকু অমরিন্দরকে পেরিয়ে গোল করে যান। ব্যবধান কমানোর পরে মোহনবাগান গোলশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। খেলা গড়ায় শারীরিক পর্বে। ম্যাচ গড়ানোর সঙ্গেসঙ্গেই ওড়িশা বক্সে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকেন সাদিকু। তবে গোল আসছিল না। গোলশোধের জন্য হেক্টর কার্যত মিডফিল্ডারও হয়ে যান। হাই ডিফেন্স লাইন নিয়ে বাগান তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শানাচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে গোল এল ৯৫ মিনিটে। ইউৎসের বাড়ানো বল দখলের জন্য লড়াই শুরু হয়েছিল অমরিন্দর এবং সাদিকুর মধ্যে। শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসেন বাগানের আলবেনিয়ান স্ট্রাইকার। ম্যাচের শেষ লগ্নে রয় কৃষ্ণের সঙ্গে তর্কাতর্কি করে লাল কার্ড দেখেন বাগান বস ফেরান্দো। মোহনবাগান: বিশাল কাইথ, আশিস রাই, ব্রেন্ডন হ্যামিল, হেক্টর ইউৎসে, শুভাশিস, বুমোস, থাপা, সাহাল, কোলাসো, কিয়ান নাসিরি, আর্মান্দো সাদিকু

বদলার মঞ্চে প্রত্যাবর্তন সাদিকুর! হারতে হারতে বাজিগর মোহনবাগান

জোড়া গোল করে নায়ক সাদিকু (টুইটার)

নবীন-প্রবীণ বিতর্ক নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস। দলের প্রথমসারির নেতাদের অনেকেরই বয়স হয়েছে। তার মধ্যেই অনেকে যেন শিং ভেঙে বাছুরের দলে মেশার মত, যুবনেতা হওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু, তাতেও যেন তাঁদের মন থেকে খচখচানি যাচ্ছে না।এই বিতর্ককে সম্প্রতি উসকে দিয়ে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, &#8216;অন্যান্য পেশার মত রাজনীতিতেও বয়সসীমা থাকা উচিত বলেই আমি মনে করি। কাজের জন্যই তরুণদের দরকার। কারণ, বয়স বেড়ে গেলে কাজের ক্ষমতাও কমে যায়। কিন্তু, তারপরও অনেকেই যোগ্য যুবদের সামনে আসতে দেন না। এটা ঠিক না।&#8217;দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের উসকে দেওয়া এই বিতর্কেই বুধবার জড়িয়ে গেলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কার্যত অভিষেকের নবীন-প্রবীণ নীতি নিয়েই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি, দলের নীতিগত প্রশ্নে সেফ জোনে থাকতে এখনও নিজেকে বয়স্ক বলতে নারাজ ফিরহাদ।বুধবার কলকাতার মেয়র তথা এই তৃণমূল নেতা বলেছেন, &#8216;প্রবীণ বা নবীন, বড় কথা নয়। মানুষের কাছে যাঁর গ্রহণযোগ্যতা আছে, তাঁকেই প্রার্থী বাছা উচিত। যেমন, এখনও ডায়মন্ডহারবারে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রকম অনেকেই আছেন, যাঁদের মানুষ গ্রহণ করেছেন, তাঁরাই প্রার্থী হবেন। নিজের ক্ষেত্রে বলতে পারি, আমি নবীন আর প্রবীণের মাঝামাঝি, নিজেকে মধ্যবয়স্ক বলি।&#8217;আরও পড়ুন- <a class="" href="https://bengali.indianexpress.com/west-bengal/ed-desperate-to-speed-up-investigation-by-interrogating-jyotipriya-mallicks-accountant-jaishankar-gupta-in-ration-corruption-case-701418/">রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় নয়া গতি! তদন্তের ট্রাম্পকার্ড ইডি-র হাতে?</a>একথা বলার পাশাপাশি, কার্যত ঘুরিয়ে অভিষেকের সমালোচনা করে ফিরহাদ বলেন, &#8216;আমাদের প্রকাশ্যে এসব কথা বলা উচিত না। যা, বলার দলের মধ্যেই বলা উচিত। দলে সকলের দরকার আছে। মানুষের কাছে কারও গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না, সেটাই শেষ কথা হওয়া উচিত। শোভনদা (শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়) যেমন খুবই কাজের। মদনদাও যথেষ্ট কাজ করেন। আর, সৌগতদা যেভাবে নিজের এলাকায় কাজ করেন, তাঁর কাছ থেকে শেখা উচিত।&#8217;

নবীন-প্রবীণ বিতর্ক নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস। দলের প্রথমসারির নেতাদের অনেকেরই বয়স হয়েছে। তার মধ্যেই অনেকে যেন শিং ভেঙে বাছুরের দলে মেশার মত, যুবনেতা হওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু, তাতেও যেন তাঁদের মন থেকে খচখচানি যাচ্ছে না। এই বিতর্ককে সম্প্রতি উসকে দিয়ে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, 'অন্যান্য পেশার মত রাজনীতিতেও বয়সসীমা থাকা উচিত বলেই আমি মনে করি। কাজের জন্যই তরুণদের দরকার। কারণ, বয়স বেড়ে গেলে কাজের ক্ষমতাও কমে যায়। কিন্তু, তারপরও অনেকেই যোগ্য যুবদের সামনে আসতে দেন না। এটা ঠিক না।' দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের উসকে দেওয়া এই বিতর্কেই বুধবার জড়িয়ে গেলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কার্যত অভিষেকের নবীন-প্রবীণ নীতি নিয়েই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি, দলের নীতিগত প্রশ্নে সেফ জোনে থাকতে এখনও নিজেকে বয়স্ক বলতে নারাজ ফিরহাদ। বুধবার কলকাতার মেয়র তথা এই তৃণমূল নেতা বলেছেন, 'প্রবীণ বা নবীন, বড় কথা নয়। মানুষের কাছে যাঁর গ্রহণযোগ্যতা আছে, তাঁকেই প্রার্থী বাছা উচিত। যেমন, এখনও ডায়মন্ডহারবারে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রকম অনেকেই আছেন, যাঁদের মানুষ গ্রহণ করেছেন, তাঁরাই প্রার্থী হবেন। নিজের ক্ষেত্রে বলতে পারি, আমি নবীন আর প্রবীণের মাঝামাঝি, নিজেকে মধ্যবয়স্ক বলি।' আরও পড়ুন- রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় নয়া গতি! তদন্তের ট্রাম্পকার্ড ইডি-র হাতে? একথা বলার পাশাপাশি, কার্যত ঘুরিয়ে অভিষেকের সমালোচনা করে ফিরহাদ বলেন, 'আমাদের প্রকাশ্যে এসব কথা বলা উচিত না। যা, বলার দলের মধ্যেই বলা উচিত। দলে সকলের দরকার আছে। মানুষের কাছে কারও গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না, সেটাই শেষ কথা হওয়া উচিত। শোভনদা (শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়) যেমন খুবই কাজের। মদনদাও যথেষ্ট কাজ করেন। আর, সৌগতদা যেভাবে নিজের এলাকায় কাজ করেন, তাঁর কাছ থেকে শেখা উচিত।'

তৃণমূলের বৃদ্ধতন্ত্র: এবার অভিষেকের নীতি নিয়ে প্রশ্ন ফিরহাদের! নিজেকে রাখলেন কোন ক্যাটাগরিতে?

তৃণমূলের প্রথমসারির বেশিরভাগ নেতারই বয়স হয়েছে।

Chinmoy Bhattacharya

সিপিএমের বিরুদ্ধে মুসলিম মেয়েদের অন্য সম্প্রদায়ে বিয়েতে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ করলেন কেরলের এক বিশিষ্ট মুসলিম নেতা। তিনি অভিযোগ করেছেন, কেরলে সিপিএম এমনভাবে প্রচার চালাচ্ছে যাতে শাসক দল এবং দলের যুব আর ছাত্র শাখার সমর্থনে মুসলিম মেয়েদের &#8216;অপহরণ করা হয় এবং অমুসলিমদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।&#8217; কোঝিকোডে এক সভায় বক্তৃতার সময়, সুন্নি যুবজানা সংঘামের সেক্রেটারি নাসার ফাইজি কুদাথাই, সিপিএমের &#8216;ধর্মনিরপেক্ষতার কৌশল&#8217; সম্পর্কে সতর্ক থাকতে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।আরও পড়ুন- <a class="" href="https://bengali.indianexpress.com/politics/parliament-winter-session-bill-on-kashmir-and-amit-shah-701382/">‘শৌর্য দিবস’-এ কাশ্মীর নিয়ে উথালপাতাল করা প্রস্তাব শাহর, শীতেই উত্তপ্ত সংসদের অধিবেশন?</a>কুদাথাই বলেছেন যে কিছু লোকের কাছে ধর্মনিরপেক্ষতা মানে একজন হিন্দু একজন মুসলিমকে বিয়ে করা। কুদাথাই বলেন, &#8216;সম্প্রতি আমরা আন্তঃধর্মীয় বিবাহ প্রচারের জন্য নীতিহীন রাজনৈতিক কৌশল দেখেছি। সংবিধান অনুমতি দেয় যে একজন মুসলমান একজন মুসলমানকে বিয়ে করবে এবং হিন্দুকে হিন্দু বিয়ে করতে হবে। কিন্তু, কিছু লোকের কুটিল দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তারা মনে করে যে ভারতীয় সংস্কৃতি তখনই প্রচারিত হতে পারে, যখন একজন হিন্দু একজন মুসলমানকে বিয়ে করে। পার্টি অফিস, সংবাদপত্র অফিস, সিপিএম, ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই-এর নেতৃবৃন্দের সমর্থনে মুসলিম মেয়েদের অপহরণ করা হচ্ছে এবং তাদের অমুসলিমদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের অধার্মিক কাজের বিরুদ্ধে মহল্লু (মসজিদ) কমিটিগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।&#8217;আরও পড়ুন- <a class="" href="https://bengali.indianexpress.com/politics/pranab-mukherjee-sonia-gandhi-sharmistha-2004-pm-drama-9056770-ieart-import-701412/">পিতা প্রণবের স্মৃতিচারণায় বিতর্ক বাড়ালেন কন্যা শর্মিষ্ঠা, ঘুরিয়ে সনিয়া-রাহুলের নেতৃত্বকেই খোঁচা?</a>এই প্রথম সুন্নি মুসলিম ধর্মগুরুদের প্রভাবশালী সংগঠনের একজন নেতা সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আন্তঃধর্মীয় বিয়েতে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ করলেন। এর আগেই সিপিএমের বিরুদ্ধে কেরলে হিন্দু এবং খ্রিস্টান সংগঠনগুলো মুসলমানদের &#8216;লাভ জিহাদে&#8217; সহযোগিতা করার অভিযোগ করেছে। এনিয়ে আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, খ্রিস্টান সংগঠনগুলো এই অভিযোগে রীতিমতো পথে নেমে সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। হিন্দু সমাজের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো সরব হয়েছে সংঘ পরিবারও।

সিপিএমের বিরুদ্ধে মুসলিম মেয়েদের অন্য সম্প্রদায়ে বিয়েতে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ করলেন কেরলের এক বিশিষ্ট মুসলিম নেতা। তিনি অভিযোগ করেছেন, কেরলে সিপিএম এমনভাবে প্রচার চালাচ্ছে যাতে শাসক দল এবং দলের যুব আর ছাত্র শাখার সমর্থনে মুসলিম মেয়েদের 'অপহরণ করা হয় এবং অমুসলিমদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।' কোঝিকোডে এক সভায় বক্তৃতার সময়, সুন্নি যুবজানা সংঘামের সেক্রেটারি নাসার ফাইজি কুদাথাই, সিপিএমের 'ধর্মনিরপেক্ষতার কৌশল' সম্পর্কে সতর্ক থাকতে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। আরও পড়ুন- ‘শৌর্য দিবস’-এ কাশ্মীর নিয়ে উথালপাতাল করা প্রস্তাব শাহর, শীতেই উত্তপ্ত সংসদের অধিবেশন? কুদাথাই বলেছেন যে কিছু লোকের কাছে ধর্মনিরপেক্ষতা মানে একজন হিন্দু একজন মুসলিমকে বিয়ে করা। কুদাথাই বলেন, 'সম্প্রতি আমরা আন্তঃধর্মীয় বিবাহ প্রচারের জন্য নীতিহীন রাজনৈতিক কৌশল দেখেছি। সংবিধান অনুমতি দেয় যে একজন মুসলমান একজন মুসলমানকে বিয়ে করবে এবং হিন্দুকে হিন্দু বিয়ে করতে হবে। কিন্তু, কিছু লোকের কুটিল দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তারা মনে করে যে ভারতীয় সংস্কৃতি তখনই প্রচারিত হতে পারে, যখন একজন হিন্দু একজন মুসলমানকে বিয়ে করে। পার্টি অফিস, সংবাদপত্র অফিস, সিপিএম, ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই-এর নেতৃবৃন্দের সমর্থনে মুসলিম মেয়েদের অপহরণ করা হচ্ছে এবং তাদের অমুসলিমদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের অধার্মিক কাজের বিরুদ্ধে মহল্লু (মসজিদ) কমিটিগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।' আরও পড়ুন- পিতা প্রণবের স্মৃতিচারণায় বিতর্ক বাড়ালেন কন্যা শর্মিষ্ঠা, ঘুরিয়ে সনিয়া-রাহুলের নেতৃত্বকেই খোঁচা? এই প্রথম সুন্নি মুসলিম ধর্মগুরুদের প্রভাবশালী সংগঠনের একজন নেতা সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আন্তঃধর্মীয় বিয়েতে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ করলেন। এর আগেই সিপিএমের বিরুদ্ধে কেরলে হিন্দু এবং খ্রিস্টান সংগঠনগুলো মুসলমানদের 'লাভ জিহাদে' সহযোগিতা করার অভিযোগ করেছে। এনিয়ে আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, খ্রিস্টান সংগঠনগুলো এই অভিযোগে রীতিমতো পথে নেমে সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। হিন্দু সমাজের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো সরব হয়েছে সংঘ পরিবারও।

মুসলিম মহিলাদের অন্য ধর্মে বিয়েতে ইন্ধন জোগাচ্ছে সিপিএম, তোলপাড় ফেলা অভিযোগ সুন্নি নেতার

কোঝিকোডে একটি সভায় বক্তৃতার সময়, সুন্নি যুবজানা সংঘমের সেক্রেটারি নাসার ফাইজি কুদাথাই বলেছেন, সিপিএমের &#039;ধর্মনিরপেক্ষতার কৌশল&#039; সম্পর্কে মুসলিম সম্প্রদায়ের সতর্ক থাকা উচিত। (ফেসবুক/ নাসার ফাইজি কুদাথাই)

তাঁর পিতার স্মৃতিচারণায় বিতর্ক বাড়ালেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। শর্মিষ্ঠা তাঁর প্রকাশিত হতে চলা বই, &#8216;ইন প্রণব, মাই ফাদার: এ ডটার রিমেম্বার্স&#8217;-এ ঘুরিয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ডের নেতৃত্বকেই খোঁচা দিয়েছেন। বইটিতে ২০০৪ সালে তাঁর বাবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে লিখেছেন শর্মিষ্ঠা। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাবার নাম সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর তালিকায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। তিনি সেব্যাপারে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। জবাবে প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, &#8216;না, তিনি আমাকে প্রধানমন্ত্রী বানাবেন না।&#8217;কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখপাত্র শর্মিষ্ঠা ২০২১ সালে রাজনীতি ছেড়েছেন। সদ্য প্রকাশিত হতে চলা বইয়ে তিনি জানিয়েছেন, এতকিছুর পরও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কোনও রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছিল না। তিনি না সোনিয়া গান্ধী, না সোনিয়া গান্ধীর মনোনীত মনমোহন সিং- কারও বিরুদ্ধেই বিদ্বেষ পোষণ করতেন না। বইটির প্রকাশক রূপা পাবলিকেশন। এই বইয়ে সোনিয়া গান্ধীর পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর ব্যাপারেও লিখেছেন শর্মিষ্ঠা। রাহুলের ক্যারিশমা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি তাঁকে কার্যত রাজনৈতিক বোধহীন বলেই কটাক্ষ করেছেন। এমনটাই জানা গিয়েছে প্রকাশক সূত্রে।আরও পড়ুন- <a class="" href="https://bengali.indianexpress.com/politics/parliament-winter-session-bill-on-kashmir-and-amit-shah-701382/">‘শৌর্য দিবস’-এ কাশ্মীর নিয়ে উথালপাতাল করা প্রস্তাব শাহর, শীতেই উত্তপ্ত সংসদের অধিবেশন?</a>এই বইয়ে নেহরু-গান্ধী পরিবারের চারপাশে ঘোরাফেরা করা ব্যক্তিদের সংস্কৃতিকেও তুলে ধরেছেন লেখিকা। প্রণব মুখোপাধ্যায় ভারতের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিদেশমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতিও হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের ১৩তম রাষ্ট্রপতি। ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট, ৮৪ বছর বয়সে প্রণব মুখোপাধ্যায় মারা যান।বইয়ে শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়া একক বৃহত্তম দল কংগ্রেসের সভানেত্রী হিসেবে সোনিয়া গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তে জোটের অংশীদারদের সম্পূর্ণ সমর্থন ছিল। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সেই অনুরোধ সোনিয়া গান্ধী ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত শুধু কংগ্রেসই নয়। জোটের অংশীদার, গোটা দেশকে অবাক করে দিয়েছিল। তাঁর বইয়ের শিরোনামের অধ্যায়, &#8216;দ্য পিএম ইন্ডিয়া নেভার হ্যাড&#8217;-এ শর্মিষ্ঠা আরও লিখেছেন, &#8216;প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সোনিয়ার সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের পরে, মিডিয়া এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রের মধ্যে তীব্র জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়েছিল!&#8217;আরও পড়ুন- <a class="" href="https://bengali.indianexpress.com/politics/jawaharlal-nehru-is-responsible-for-creating-pakistan-occupied-kashmir-said-amit-shah-701413/">‘নেহেরুর ঐতিহাসিক ভুলেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সৃষ্টি’, ভয়ঙ্কর তোপ অমিত শাহ’র</a>তাঁর বইয়ে শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, সোনিয় গান্ধী না-বলে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নাম উঠেছিল ড. মনমোহন সিং ও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর বাবা কয়েকদিন ভয়ংকর ব্যস্ত থাকায় তিনি তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন শর্মিষ্ঠা। তিনি লিখেছেন, &#8216;আমি উচ্ছ্বসিতভাবে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কি না।&#8217; জবাবে প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, &#8216;না, তিনি আমাকে প্রধানমন্ত্রী করবেন না। মনমোহন সিং হবেন।&#8217; সঙ্গে যোগ করেছিলেন, &#8216;কিন্তু, তাঁর দ্রুত ঘোষণা করা উচিত। এই অনিশ্চয়তা দেশের জন্য ভালো নয়।&#8217; শর্মিষ্ঠার দাবি, প্রধানমন্ত্রী হতে না-পারায় তাঁর বাবার মধ্যে কোনও হতাশা জন্ম নেয়নি। হলে, সেটা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ডায়েরিতে ধরা থাকত। কেন প্রধানমন্ত্রী হতে না-পারায় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে হতাশা জন্ম নেয়নি, তার কারণও জানিয়েছেন শর্মিষ্ঠা। তিনি লিখেছেন, তাঁর বাবা এক সাংবাদিককে বলেছিলেন, সোনিয়া গান্ধী তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করবেন, সেই প্রত্যাশা তাঁর কোনওদিনই ছিল না।রাহুল গান্ধী সম্পর্কেও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ভাবনা নিজের বইয়ে তুলে ধরেছেন শর্মিষ্ঠা। তাঁর বাবার যে ডায়েরির ভিত্তিতে তাঁর এই বই লেখা, সেখানে শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, ২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে সেবছর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর রাহুল গান্ধীর সঙ্গে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাসভবনে সাক্ষাৎ হয়। লেখিকার দাবি, সেই সাক্ষাতের পর প্রণব মুখোপাধ্যায় ডায়েরিতে লিখেছেন যে, রাহুল গান্ধী অত্যন্ত বিনীয়। তিনি নানা প্রশ্নও করেন। তবে, রাহুল গান্ধীর শেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রশ্ন আছে। একইসঙ্গে, শর্মিষ্ঠা জানিয়েছেন যে প্রণব মুখোপাধ্যায় ডায়েরিতে লিখে গিয়েছেন, রাহুল &#8216;এখনও রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ক&#8217; নয়। বইটি ১১ ডিসেম্বর প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে প্রকাশ পেতে চলেছে।

তাঁর পিতার স্মৃতিচারণায় বিতর্ক বাড়ালেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। শর্মিষ্ঠা তাঁর প্রকাশিত হতে চলা বই, 'ইন প্রণব, মাই ফাদার: এ ডটার রিমেম্বার্স'-এ ঘুরিয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ডের নেতৃত্বকেই খোঁচা দিয়েছেন। বইটিতে ২০০৪ সালে তাঁর বাবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে লিখেছেন শর্মিষ্ঠা। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাবার নাম সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর তালিকায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। তিনি সেব্যাপারে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। জবাবে প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'না, তিনি আমাকে প্রধানমন্ত্রী বানাবেন না।' কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখপাত্র শর্মিষ্ঠা ২০২১ সালে রাজনীতি ছেড়েছেন। সদ্য প্রকাশিত হতে চলা বইয়ে তিনি জানিয়েছেন, এতকিছুর পরও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কোনও রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছিল না। তিনি না সোনিয়া গান্ধী, না সোনিয়া গান্ধীর মনোনীত মনমোহন সিং- কারও বিরুদ্ধেই বিদ্বেষ পোষণ করতেন না। বইটির প্রকাশক রূপা পাবলিকেশন। এই বইয়ে সোনিয়া গান্ধীর পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর ব্যাপারেও লিখেছেন শর্মিষ্ঠা। রাহুলের ক্যারিশমা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি তাঁকে কার্যত রাজনৈতিক বোধহীন বলেই কটাক্ষ করেছেন। এমনটাই জানা গিয়েছে প্রকাশক সূত্রে। আরও পড়ুন- ‘শৌর্য দিবস’-এ কাশ্মীর নিয়ে উথালপাতাল করা প্রস্তাব শাহর, শীতেই উত্তপ্ত সংসদের অধিবেশন? এই বইয়ে নেহরু-গান্ধী পরিবারের চারপাশে ঘোরাফেরা করা ব্যক্তিদের সংস্কৃতিকেও তুলে ধরেছেন লেখিকা। প্রণব মুখোপাধ্যায় ভারতের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিদেশমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতিও হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের ১৩তম রাষ্ট্রপতি। ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট, ৮৪ বছর বয়সে প্রণব মুখোপাধ্যায় মারা যান। বইয়ে শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়া একক বৃহত্তম দল কংগ্রেসের সভানেত্রী হিসেবে সোনিয়া গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তে জোটের অংশীদারদের সম্পূর্ণ সমর্থন ছিল। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সেই অনুরোধ সোনিয়া গান্ধী ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত শুধু কংগ্রেসই নয়। জোটের অংশীদার, গোটা দেশকে অবাক করে দিয়েছিল। তাঁর বইয়ের শিরোনামের অধ্যায়, 'দ্য পিএম ইন্ডিয়া নেভার হ্যাড'-এ শর্মিষ্ঠা আরও লিখেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সোনিয়ার সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের পরে, মিডিয়া এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রের মধ্যে তীব্র জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়েছিল!' আরও পড়ুন- ‘নেহেরুর ঐতিহাসিক ভুলেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সৃষ্টি’, ভয়ঙ্কর তোপ অমিত শাহ’র তাঁর বইয়ে শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, সোনিয় গান্ধী না-বলে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নাম উঠেছিল ড. মনমোহন সিং ও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর বাবা কয়েকদিন ভয়ংকর ব্যস্ত থাকায় তিনি তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন শর্মিষ্ঠা। তিনি লিখেছেন, 'আমি উচ্ছ্বসিতভাবে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কি না।' জবাবে প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'না, তিনি আমাকে প্রধানমন্ত্রী করবেন না। মনমোহন সিং হবেন।' সঙ্গে যোগ করেছিলেন, 'কিন্তু, তাঁর দ্রুত ঘোষণা করা উচিত। এই অনিশ্চয়তা দেশের জন্য ভালো নয়।' শর্মিষ্ঠার দাবি, প্রধানমন্ত্রী হতে না-পারায় তাঁর বাবার মধ্যে কোনও হতাশা জন্ম নেয়নি। হলে, সেটা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ডায়েরিতে ধরা থাকত। কেন প্রধানমন্ত্রী হতে না-পারায় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে হতাশা জন্ম নেয়নি, তার কারণও জানিয়েছেন শর্মিষ্ঠা। তিনি লিখেছেন, তাঁর বাবা এক সাংবাদিককে বলেছিলেন, সোনিয়া গান্ধী তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করবেন, সেই প্রত্যাশা তাঁর কোনওদিনই ছিল না। রাহুল গান্ধী সম্পর্কেও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ভাবনা নিজের বইয়ে তুলে ধরেছেন শর্মিষ্ঠা। তাঁর বাবার যে ডায়েরির ভিত্তিতে তাঁর এই বই লেখা, সেখানে শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, ২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে সেবছর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর রাহুল গান্ধীর সঙ্গে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাসভবনে সাক্ষাৎ হয়। লেখিকার দাবি, সেই সাক্ষাতের পর প্রণব মুখোপাধ্যায় ডায়েরিতে লিখেছেন যে, রাহুল গান্ধী অত্যন্ত বিনীয়। তিনি নানা প্রশ্নও করেন। তবে, রাহুল গান্ধীর শেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রশ্ন আছে। একইসঙ্গে, শর্মিষ্ঠা জানিয়েছেন যে প্রণব মুখোপাধ্যায় ডায়েরিতে লিখে গিয়েছেন, রাহুল 'এখনও রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ক' নয়। বইটি ১১ ডিসেম্বর প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে প্রকাশ পেতে চলেছে।

Rajit Das

পিতা প্রণবের স্মৃতিচারণায় বিতর্ক বাড়ালেন কন্যা শর্মিষ্ঠা, ঘুরিয়ে সনিয়া-রাহুলের নেতৃত্বকেই খোঁচা?

sonia gandhi manmahan singh pranab mukherjee congress

সনিয়া, মনমোহনের সঙ্গে কংগ্রেসের সেই সময়ের চালিকা শক্তি প্রণব মুখোপাধ্যায়।

তিনিই নাকি ম্যাচ মেকার, তাও করণ-ই বলিউডের ঘর ভাঙেন? বিস্ফোরক বরুণ!

karan johar, varun dhawan, varun dhawan accusd karan johar, bollywood, bollywood news, today entertainment news, trending news, trending news today, trending news update, viral story, tollywood news, entertainment news, latest entertainment news, বিনোদন, আজকের বিনোদনের খবর, ie entertainment news, entertainment update, Indian express entertainment news, আজকের বাংলা খবর, bangla news today, today bengali news

করণের শোয়ে মন্তব্য মানেই শত্রুর সৃষ্টি, ইমরান হাশমির কথায় ফুটে উঠল ক্ষোভ!

Imran Hashmi on koffee with Karan: said I got enemies from there

ঐশ্বর্যকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, 'করণের শো থেকেই যত শত্রুতার শুরু…', ক্ষুব্ধ ইমরান

ঐশ্বর্যকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, 'করণের শো থেকেই যত শত্রুতার শুরু…', ক্ষুব্ধ ইমরান : Imran Hashmi on koffee with Karan: said I got enemies from there

মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহিকে নিয়েই ব্যাস্ত করণ, ধোনিকে নিয়ে নতুন পথ চলা শুরু?

Karan Johar new film Mr and Mrs mahi will release soon

করণ জোহর ছবি বানাচ্ছেন? 

মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহিকে নিয়েই ব্যাস্ত করণ, ধোনিকে নিয়ে নতুন পথ চলা শুরু?

ক্রিকেটারদের আতঙ্কে জ্বর, ফোনের দরজায় খিল দিয়েছেন করণ!

karan johar, karan johar coffee with karan, karan johar on cricketers, icc, indian cricket team, karan johar on icc, dress, entertainment news, tollywood news, binodon, আজকের বিনোদন

ক্রিকেটারদের আতঙ্কে জ্বর, ফোনের দরজায় খিল দিয়েছেন করণ!

ক্রিকেটারদের আতঙ্কে জ্বর, ফোনের দরজায় খিল দিয়েছেন করণ! : During world cup Karan Johar said I want to invite cricket players but

কঙ্গনার ‘এমার্জেন্সি’ দেখবেন? উত্তরে সবাইকে অবাক করে দিলেন করণ জোহর

karan johar, kangana ranaut, karan kangana, karan and kangana, kangana emergency, kangana ranaut emergency, emergency movie, karan johar news, kajal news, karan and kajal in a film, করণ জোহর, কঙ্গনা রানাউত, saif ali khan, , trending news, trending news today, trending news update, viral story, tollywood news, entertainment news, latest entertainment news, বিনোদন, আজকের বিনোদনের খবর, ie entertainment news, entertainment update, Indian express entertainment news, আজকের বাংলা খবর, bangla news today, today bengali news

করণ-কঙ্গনার সদ্ভাব? 

কঙ্গনার 'এমার্জেন্সি' দেখবেন? উত্তরে সবাইকে অবাক করে দিলেন করণ জোহর

কঙ্গনার 'এমার্জেন্সি' দেখবেন? উত্তরে সবাইকে অবাক করে দিলেন করণ জোহর : kangana ranaut emergency praised by karan johar!

করণের হাত ধরে আরেক নেপোকিডের আগমন! পরিচালককে সঙ্গ দিচ্ছেন কাজল?

karan johar, kajal, karan and kajal, karan johar news, kajal news, karan and kajal in a film, করণ জোহর, কঙ্গনা রানাউত, saif ali khan, , trending news, trending news today, trending news update, viral story, tollywood news, entertainment news, latest entertainment news, বিনোদন, আজকের বিনোদনের খবর, ie entertainment news, entertainment update, Indian express entertainment news, আজকের বাংলা খবর, bangla news today, today bengali news

করণের হাত ধরে আরেক নেপোকিডের আগমন! পরিচালককে সঙ্গ দিচ্ছেন কাজল? : saif ali khan son ibrahim in a new film with karan johar-kajal

‘আপনি কি সমকামী?’ এতবছর পর উত্তরে করণ জোহর যা বললেন…

karan johar, karan johar news, karan johar homosexual, karan johar bollywood, karan johar nepotism, karan johar bollywood, karan johar updates, karan johar nepo kid, করণ জোহর, করণ জোহর বলিউড, বলিউডের খবর, tollywood news, entertainment news, latest entertainment news, বিনোদন, আজকের বিনোদনের খবর, ie entertainment news, entertainment update, Indian express entertainment news

'আপনি কি সমকামী?' এতবছর পর উত্তরে করণ জোহর যা বললেন...

'আপনি কি সমকামী?' এতবছর পর উত্তরে করণ জোহর যা বললেন... : Karan Johar replied he is homosexual or not

পুরো ‘বীর-জারার’ টুকলি, ‘যশ চোপড়ার থেকে টুকেছেন?’ ২৫ বছর পরেও প্রশ্নের মুখে করণ জোহর!

karan johar, karan johar news, Ranveer singh, alia bhatt, tum kya mile, RARKPK, yash chopra, karan johar accused, টলিউড, bollywood update, tollywood news, entertainment news, latest entertainment news, বিনোদন, আজকের বিনোদনের খবর, ie entertainment news, entertainment update, Indian express entertainment news

পুরো 'বীর-জারার' টুকলি, 'যশ চোপড়ার থেকে টুকেছেন?' ২৫ বছর পরেও প্রশ্নের মুখে করণ জোহর!

পুরো 'বীর-জারার' টুকলি, 'যশ চোপড়ার থেকে টুকেছেন?' ২৫ বছর পরেও প্রশ্নের মুখে করণ জোহর! : Alia ranveer tum kya mile adapted from Yash Chopra veer Zara?

‘আমার কোলেই তো সুহানা-অগস্ত্য…’, স্টারকিডদের বলিউড ডেবিউর আগেই আবেগপ্রবণ ‘পাপা জো’ করণ

karan johar, shah rukh khan, the archies, netflix, netflix and chill, the archies on netflix, shah rukh khan daughter suhana khan, karan johar update, karan johar archies, karan johar news, karan johar controversies, tollywood news, entertainment news, latest entertainment news, বিনোদন, আজকের বিনোদনের খবর, indian express entertainment news, ie entertainment news, today news update, celeb world, bollywood celeb news

The archies- কে শুভেচ্ছা করণের 

'আমার কোলেই তো সুহানা-অগস্ত্য…', স্টারকিডদের বলিউড ডেবিউর আগেই আবেগপ্রবণ 'পাপা জো' করণ

'আমার কোলেই তো সুহানা-অগস্ত্য…', স্টারকিডদের বলিউড ডেবিউর আগেই আবেগপ্রবণ 'পাপা জো' করণ : Karan wrote a cute letter to the Archies team

কাজল বিবাহিত, নায়িকা হিসেবে মানাবে না! কেন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিলেন করণ?

karan johar, karan johar news, karan johar bollywood, karan johar on casting, kajol, aishwarya rai bachchan, aishwarya rai bachchan cannes look, aishwarya rai bachchan news, aishwarya rai bachchan news ovies, aishwarya rai bachchan bolly world, করণ জোহর, ঐশ্বর্য রাই, কাজল, tollywood, tolly news, tolly world, bolly world indian express entertainment news, express entertainment news, latest entertainment news, আজকের বিনোদনের খবর, বিনোদন

কাজল বিবাহিত, নায়িকা হিসেবে মানাবে না! কেন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিলেন করণ?

বিবাহিত না অবিবাহিত? করণের সিনেমায় নায়িকারা সুযোগ পান এভাবেই! প্রকাশ্যে চরম তথ্য... : Karan Johar casted for k3g, but not planned for kajol as she was married

About News

karan johar

তিনিই নাকি ম্যাচ মেকার, তাও করণ-ই বলিউডের ঘর ভাঙেন? বিস্ফোরক বরুণ!